প্রিয় শৈশব
মোঃ এনামুল ইসলাম
বড় বেশি মনে পড়ে,
সেই ছেলে বেলার দিনের কথা।
যাইনি তো, আজো ভুলে
হাটি হাটি, পা পা করে, বেড়ে উঠেছি যেথা।
এক টাকায় যখন
চারটা লজেন্স যেতো পাওয়া,
বড্ড মনে পড়ে
প্রজাপতির পিছনে ছুটতে ছুটতে
ক্লান্ত হয়ে যাওয়া।
তবুও থামতো কখনো, সেই ছুটে চলা,
দলবেঁধে প্রজাপতির পিছনে ছোটা,
ধরতে পারলে, সবাই মিলে হইচই করা।
খুব মনে পড়ে,
সেই দিনগুলোর কথা।
বৃষ্টির দিনে, জাম্বুরা দিয়ে
কখনো বা শার্ট পলিথিন দিয়ে বেধে,
বল বানিয়ে, খেলেছি কতো খেলা।
পুকুরে বা নদীতে,
যদি পানি জমে বর্ষাকালে
সবাই মিলে ছুটে যেতাম কলা বাগানে
কলাগাছ দিয়ে বানাবো যে, সখের ভেলা।
রোজ সকালবেলা, স্কুলে যাওয়ার আগে
বাবার কাছে ধরেছি কতো বায়না,
দুই টা টাকা না দিলে
বলেছি, আমি তো স্কুলে যাবো না।
দুই টাকার নোট টা, যেই পেয়ে যাই হাতে
অমনি ছুটে যাই, স্কুলের মাঠে।
ততক্ষণে মতিন মামাও আসতো নিয়ে
তার মাজার ঝালমুড়ি,
তাই নিয়ে আমাদের মাঝে
লেগে যেতো কাড়াকাড়ি।
যদি কেউ পেতো না, তার ভাগ
অমনি সে বলতো রেগে
আজ থেকে তোর সাথে আড়ি,
তুই আর যেতে পারবি না, আমার সাথে বাড়ি।
বিকেল হলেই, সব ঝগড়া ভুলে সবাই মিলে
ছুটে যেতাম স্কুলের মাঠে,
গাছে গাছে, খুজে বেরাতাম
পাখির বাসাটা কোথায় আছে।
মাঝে মাঝে, নদীর পাড়ে
করেছি মোরা, কতো চড়ুইভাতি,
মরিচ-পেয়াজ, চাল-ডালা সব
বাড়ি থেকে আনতে হতো, চুপিচুপি।
কতো দিন, কতো বছর পেরিয়ে গেলো
সেই দিনগুলো, কতোই না সুখের ছিলো,
শৈশবের দিনগুলো এখন কেবল স্মৃতি হয়ে
মনের কোঠায় পেলো ঠাই।